HISTORY

QUICK

LINK

Brief School History


একটি সুশৃংখল সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির আত্মোন্নয়নের অপরিহার্য অঙ্গ। প্রত্যেক জাতির জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া, শিক্ষার ধারাবাহিক বিকাশ একটি জাতিকে করে তোলে সমৃদ্ধ। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে সমৃদ্ধ জাতি গড়ার প্রত্যয়ে যে প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম ব্যতিক্রমধর্মী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেটির নাম ঢাকা মহিলা কলেজ। এর অবস্থান রাজধানী ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র ধানমন্ডি ৭ নং রোডে ২৩ নং বাড়িতে।ঢাকা মহিলা কলেজের সাফল্যেরকথাসবারই জানা। এই সাফল্যের ইতিহাস । একদিন হয়নি।একটু পিছনে ফিরে তাকালেই জানতে পারা যাবে এর যাত্রা কোথা থেকে শুরু।


 ১৯৯২ সালের  ৭ই জুন বিশিষ্ট সমাজসেবক ওশিক্ষানুরাগী মরহুম লায়ন হুমায়ূন জহীর, মিসেস কামরুন্নাহার জহীর , প্রফেসর হাসনা বেগম, ঢাকা কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকীসহ কিছু সংখ্যক বিদ্যানুরাগী এবং সমাজ হিতৈষী ঢাকা মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯২-৯৩ইং শিক্ষা বর্ষে ৮০ জন ছাত্রী নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে কলেজটির পরিচালনা পরিষদের  সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ,শিক্ষানুরাগী ও  প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিসেস কামরুন্নাহার জহীর । তাঁর দক্ষ পরিচালনায় অধ্যক্ষের নিরলস ও কঠোর পরিশ্রমসহ কলেজ পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য, সকল মেধাবী শিক্ষক ও কর্মচারীর সীমাহীন ঐকান্তিক কর্ম প্রচেষ্টায় ঢাকা মহিলা কলেজ দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এ কলেজের ভাল ফলাফলই এর উজ্জ্বল নিদর্শন। একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সুযোগ্য নারী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ঢাকা মহিলা কলেজই হবে অগ্রগণ্য। এ প্রত্যাশায় কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছেন পরিকল্পিত বিজ্ঞান সম্মত, বাস্তবধর্মী, গঠনমূলক এক শক্তিশালী কার্যক্রম।

এক নজরে কলেজ কার্যক্রম
কলেজের লক্ষ্যঃ স্বধর্মে পূর্ণ আনুগত্য, জ্ঞান আহরণ, শৃংখলা বিধান, সমাজ সচেতনতা সৃষ্টি, সুন্দর জীবনবোধ অর্জন।
কলেজের আদর্শঃ মাতা পিতাকে মান্য কর , দেশকে ভালবাস।
ক্লাশ শুরুঃ ০১/০৭/২০১৯ ইং তারিখে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের ক্লাশ শুরু হয়। এক আনন্দঘন পরিবেশে নবাগত ছাত্রীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন শুভেচ্ছা ভালবাসা ও স্বাগতম জানিয়ে ছাত্রী শিক্ষক পারষ্পরিক পরিচয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনটি।
দৈনন্দিন কার্যক্রম
জাতীয় পতাকা উত্তোলনঃ
দৈনন্দিন কার্যক্রম মূলত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রত্যেক দিন সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় কলেজ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কলেজ পতাকা উত্তোলনঃ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরপরই কলেজ পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ পতাকায় রয়েছে এক বিচিত্র রং এর সমাহার যা কেবল পতাকার শোভাই বর্ধন করে না এর হলুদ, সাদা, আকাশী ও গাঢ় নীল রং আলাদা বৈশিষ্ট্য ও অর্থ বহন করে।
প্রারম্ভিক সমাবেশঃ সকাল ৮.০০ টায় প্রারম্ভিক সমাবেশের ঘন্টা বাজার সাথে সাথে অধ্যক্ষ, শরীর চর্চা প্রশিক্ষক, অধ্যাপক বৃন্দ ও ছাত্রীরা সমাবেশে উপস্থিত হন। প্রথমে সংক্ষিপ্ত পিটি এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত, জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, জাতীয় সংগীত ও শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দৈনন্দিন কার্যক্রম।
জাতীয় সংগীতঃ জাতীয় সংগীত আমাদের স্বাধীনতা ও চেতনাবোধের পরিচায়ক। ছাত্রীদের মাঝে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যে প্রতিদিন প্রারম্ভিক সমাবেশে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
কলেজ সংগীতঃ কলেজ সংগীত এই কলেজের সূচনা সংগীত যার কথা ও সুরে কলেজের কর্মপ্রেরনা, নবউদ্যম, বিপুল উৎসাহ আশা আকাঙ্খা জ্ঞান অস্তিত্বের এক আদর্শের প্রতীক।

শফথ: এ কলেজের ছাত্রীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, আত্মনির্ভরতা, আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠন এবং জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রারম্ভিক সমাবেশে পাঠ করানো হয়।
“আমি আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখিব
মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য পালন করিব
কলেজের নিয়মাবলি মানিয়া চলিব
দেশ ও জাতির সেবা করিব।”
-আমিন
ক্লাশের সময়সীমা এবং রুটিনঃ প্রতিটি ক্লাশের সময় সীমা ৫০ মিনিট। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সনাতন পদ্ধতির রুটিন পরিবর্তিত করে বৈপ্লবিক, ত্রৈমাসিক, রুটিন প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে ছাত্রীদের ফলাফলের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
 পাঠ পরিকল্পনাঃ সুষ্ঠ পরিকল্পনাই সফলতার প্রসুতি স্বরুপ। শিক্ষার মনোন্নয়নের লক্ষ্যে এ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ সাপ্তাহিক পাঠ-পরিকল্পনা তৈরী করে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর গ্রহন করেন।

এভাবে অধ্যক্ষ স্বয়ং নিজ হাতে প্রতিটি শিক্ষকের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করেন।
রেড ক্লাশ (Red Class): বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। ফলে এদেশের অধিকাংশ ছাত্রী ইংরেজিতে দুর্বল। আর এ দুর্বলতা দূর করার জন্য প্রতিদিন ইংরেজি বিষয়ের অধ্যাপকবৃন্দের সহযোগিতায় Off Period-এ ছাত্রীদের যত্নসহকারে ইংরেজী বিষয়ের বিভিন্ন Topics শিক্ষাদান করা হয়। এই ক্লাসটি Red Class নামে পরিচিত।
পাক্ষিক ও মাসিক পরীক্ষাঃ নির্ধারিত পাঠ্য সূচির উপর ভিত্তি করে প্রতিমাসে দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটি পাক্ষিক, অপরটি মাসিক। পাক্ষিক ও মাসিক পরীক্ষা ২০ নম্বরের উপর

নেয়া হয়ে থাকে।
পর্ব, বার্ষিক, প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষাঃ পর্ব পরীক্ষায়  ৮০ নম্বরের প্রাপ্ত নম্বরের সাথে মাসিক পরীক্ষার ২০ নম্বর যোগ করে মোট ১০০ নম্বরের ফলাফল তৈরী করা হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্রীরা  ক্লাসে উপস্থিত এবং পরীক্ষা দিতে উৎসাহী হয়।

 প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষাঃ নির্বচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যে সমস্ত ছাত্রী বোর্ড পরীক্ষার জন্য ফরম পূরন করে, তাদের প্রস্তুতির জন্য এক বিশেষ ধরনের ক্লাশের পাশাপাশি পরীক্ষা নেয়া হয়। যাকে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা বলা হয়।
গাইড শিক্ষকঃ গাইড শিক্ষকগণ প্রত্যেকটি ছাত্রীর তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত। ১০/১১ জন ছাত্রীর দায়িত্ব থাকে গাইড শিক্ষকদের উপর। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে (বৃহস্পতিবার) প্রতিটি বিষয়ের প্রাত্যহিক পাঠোন্নতি, পাঠাবনতি, নিয়মিত উপস্থিত ইত্যাদি বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষনের জন্য ‍'Guide Meet' নামক ৩০ মিনিটের একটি ক্লাশ হয়। এর ফলে ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের যেমন আন্তরিক হৃদ্যতা গড়ে ওঠে অন্যদিকে তেমনি ছাত্রীর সকল বিষয়ের খোজ খবর রাখতে পারছেন গাইড শিক্ষক।

 শ্রেণী শিক্ষকঃ শিক্ষাবর্ষের প্রত্যেক শ্রেণীর প্রত্যেক শাখার দায়িত্ব একজন শিক্ষক তত্ত¡াবধানে নিয়োজিত। ছাত্রীরা যে কোন সমস্যা সম্পর্কে তাকে অবহিত করতে পারে এবং শিক্ষক তা অধ্যক্ষ মাহোদয়ের সহযোগিতায় সমাধান করার চেষ্টা করেন।
 সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমঃ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তব, জীবনধর্মী, গঠনমূলক যুগোপযোগী নয় বলে বর্তমান শিক্ষাক্রম হিসেবে স্বয়ং সম্পূর্ণ ছাড়াও সহপাঠ্য ক্রমিক কার্যাবলির উপর গুরুত্ব রয়েছে। আমাদের কলেজেও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম প্রথম থেকেই গুরুত্বের সাথে পালিত হয়ে আসছে।
শিক্ষা সফরঃ তাত্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে উঠায় অপরিহার্য ভূমিকা রাখে, সে জন্য প্রতি বছর এ কলেজে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করে থাকে।
 বার্ষিক বনভোজনঃ একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রীদের মানসিক বিকাশের ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রয়োজন বনভোজন। আর এ লক্ষ্যেই প্রতি বছর বনভোজনের আয়োজন করে। চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী এবারও কলেজের সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শুভানুধ্যায়ী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী অতিথি বৃন্দদের সমন্বয়ে “পনড গার্ডেন''  রুপগঞ্জে বনভোজনে যাওয়া হয়। এর সার্বিক পরিচালনা নিরীক্ষন, পর্যবেক্ষন ও পরিদর্শনের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ নিজে। এখানে খেলাধুলা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এবং অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
বার্ষিক ক্রীড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সপ্তাহঃ সুস্থ দেহের প্রধান উৎস মনের আনন্দ। তাই প্রতি বছর ছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভার অনুশীলন ও বিকাশের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার। প্রতিবারের ন্যায় এ বছর সপ্তাহ ব্যাপি আবৃত্তি, হামদ, নাত, সংগীত, উপস্থিত বক্তৃতা, অভিনয় ও অভ্যন্তরীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
A+ প্রাপ্তদের ক্রেষ্ট প্রদান ও বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী: ঢাকা মহিলা কলেজের মেধা তালিকায় A+ প্রাপ্তদের মাঝে ক্রেষ্ট প্রদান এবং বার্ষিক ক্রীড়া, সহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, বার্ষিক পরীক্ষায় স্থান প্রাপ্ত ছাত্রী, সর্বাধিক উপস্থিত ও শ্রেষ্ঠ ছাত্রীর পুরষ্কার বিতরণী  অনুষ্ঠিত হয় ।
জাতীয় দিবস পালনঃ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবস সমূহ তথা মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস , জাতীয় শোক দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী  পালন করা হয়েছে। বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা শিক্ষা সম্পূরক কার্যাবলী হিসেবে এ কলেজে বিতর্ক ও উপস্থিত বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রীদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিযোগিতা বিরাট সাড়া জাগিয়েছে।

শিষ্ঠাচার ক্লাশঃ ক্রমবর্ধমান সামাজিক, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রেক্ষিত অনুধাবন করে ঢাকা মহিলা (ডিগ্রি) কলেজে আর একটি সংযোজন হলো শিষ্টাচার ক্লাশ।৩০মিনিটের এ ক্লাশটি প্রতি পনের দিন অন্তর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়।

 শ্রেষ্ঠ ছাত্রী নির্বাচনঃ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের মধ্য থেকে প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ ছাত্রী নির্বাচন করা হয়। এ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছাত্রীর পরীক্ষার ভালফলাফল,নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত,উন্নত চরিত্রের অধিকারী,একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বর্হিঃমুখী জ্ঞানের অধিকারী ইত্যাদি দিককে প্রাধান্য দেয়া হয়।

কলেজ লাইব্রেরীঃ এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম “হুমায়ূন জহীর” নামে একটি সুন্দর পাঠাগার আছে। ছাত্রী এবং শিক্ষকদের একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের জন্য এখানে প্রচুর পরিমাণ দেশী ও বিদেশী উন্নতমানের বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। Off Period এ ছাত্রীরা এই গ্রন্থাগারে লেখাপড়া করে।

মেধাবী ও গরীব ছাত্রীদের জন্য সুযোগ সুবিধাঃ A+ প্রাপ্তদের কলেজ ভর্তি ফ্রি । মেধাবী ও গরীব ছাত্রীদের মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়।


 বার্ষিক দোয়া মাহফিল ও কোরআন খানিঃ
গত ২৭ই মার্চ -২০১৯ তারিখে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম “হুমায়ূন জহীর” এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুমা “হাসনা বেগমের” স্মরণে এবং ২০১৯ সালের এইচ এস সি ছাত্রীদের বোর্ড পরীক্ষায় কৃতীত্বের সাথে ভাল ফলাফলের আশায় বার্ষিক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নবীন বরণ ও বিদায় সম্বর্ধনাঃ ০১/০৭/১৭ ইং তারিখে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষা বর্ষের ছাত্রীদের ফুল ও ডায়েরী দিয়ে বরণ করা হয়। ২২/০২/১৮ ইং তারিখে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষা বর্ষের ছাত্রীদের বিদায় সম্বর্ধনা দেয়া হয়।    উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক ডাঃ খালেদা বেগম  ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক, সম্পর্কঃ শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবক এই তিন মেরুর মধ্যে সমন্বয় না থাকলে লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে না। শিক্ষক যদি ছাত্রীদের মনের গহীনে প্রবেশ করতে না পারে অভিভাবক যদি শিক্ষককে সহযোগিতা না করেন তবে শিক্ষার্থীর কল্যাণ হতে পারে না। সে লক্ষ্যেই এ কলেজ অভিভাবক দিবসে অভিভাবকদের আসতে উৎসাহিত করা হয় যাতে তারা তাদের পোষ্য/সন্তানদের হাল অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারে।
 কলেজের নিজস্ব ভূমিতে কলেজ ভবন নির্মাণঃ কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের অক্লান্ত সাধনায় কলেজের নিজস্ব জমিতে ছয় তলা কলেজ ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ভবন উদ্ধোধন করেন দেশ বরেণ্য আইনজীবি, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, মাননীয় সাংসদ জনাব ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ।  মাননীয় সাংসদের আপ্রান চেস্টা ও আগ্রহ এবং সাবেক সভাপতি ডা: খালেদা বেগমের  ঐকান্তিক প্রচেস্টায় সরকারীভাবে আরও ছয় তলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন।   
 এইচ এস সি পরীক্ষায় কলেজ ছাত্রীদের একাডেমিক সাফল্যঃ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ঢাকা মহিলা কলেজের ছাত্রীরা বোর্ড পরীক্ষায় মেধা তালিকায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এ ছাড়া গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পরেও অত্র কলেজের ছাত্রীরা অত্যন্ত সাফল্যজনক ফলাফল করে আসছে। প্রতি বছর এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৯৫%-৯৯%। 
প্রতীতি প্রকাশনাঃ প্রতি বছর  ঢাকা মহিলা কলেজের বাৎসরিক ম্যাগাজিন “প্রতীতি” প্রকাশিত হয়। এ ম্যাগাজিনে থাকে শিক্ষক ও ছাত্রীদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন প্রবন্ধ, কৌতুক, ধাঁ ধাঁ, মজার তথ্য, ছড়া প্রভৃতিঃ এছাড়াও এতে থাকে কলেজ কার্যক্রম, শিক্ষক ছাত্রী পরিচিতি কলেজের সার্বিক চিত্র।বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক গ্রন্থ’ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
কলেজ প্রশাসনঃ কলেজ পরিচালনার জন্য এ কলেজে একটি কার্যকর পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ,শিক্ষানুরাগী ও  প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিসেস কামরুন্নাহার জহীর, সদস্যবৃন্দঃ  ডাঃ মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, ডা. এ.এম.এম আনিসুল আওয়াল, মিসেস নরুন্নাহার হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম চৌধুরী,মোহাম্মদ শামছুল কবির , ইসরাত জাহান তানিয়া, আফরোজা বানু , সদস্য সচিব: অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দিন।

অভ্যন্তরীণ কমিটিঃ কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম অধ্যক্ষের নেতৃত্বে পরিচালনার জন্য রয়েছে : (ক) একাডেমিক কাউন্সিল(খ) পরীক্ষা কমিটি(গ) ভর্তি কমিটি (ঘ) অডিট কমিটি।(ঙ) ফ্যাসিলিটিজ কমিটি (চ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমিটি (ছ) শিক্ষা সফর কমিটি (জ) বনভোজন কমিটি (ঝ) বার্ষিক ভোজ কমিটি (ঞ) প্রচার কমিটি (ট) হোষ্টেল কমিটি (ঠ) জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি 
 শেষ কথাঃ উন্নয়নশীল দেশে শিক্ষিত ও দৃঢ়চেতা সম্পন্ন নাগরিক এবং আত্মপ্রত্যয়ীরুপে সন্তানকে তৈরি করতে প্রয়োজন আদর্শ মাতার। আর এই আদর্শ মাতা গড়ার জন্য প্রয়োজন একটি আদর্শ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একথা মনে রেখে বাংলাদেশের ছাত্রীদের অনগ্রসরতা ও পশ্চাৎপদতা দূর করে উপযুক্ত সামাজিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে এবং শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে ঢাকা মহিলা কলেজ অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। এ কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থী একজন আদর্শ মা, সুগৃহিনী আদর্শ নাগরিক ও প্রতিভাধর বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠবে এই অংগীকার ও প্রত্যাশা নিয়ে আমরা সকলেই অপেক্ষমান।