Call: 01309107980,01712921503
Email: dhakamohilacollege@gmail.com
নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন
ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবদীপ্ত প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহিলা কলেজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত. ৩২ নং ধানমন্ডির নিকটেই এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। ১৯৯২ সালের ৭ জুনের এক মাহেন্দ্রক্ষণে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা মহিলা কলেজ। বিশিষ্ট সমাজসেবক ,শিক্ষানুরাগী ও বর্তমান গভর্ণিং বডির সুযোগ্য চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন নাহার জহীর তার দুই একজন সহকর্মীকে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহন করেন ঢাকা মহিলা কলেজকে বাস্তবে রূপ দান করতে। ধানমন্ডির অভিজাত এই এলাকায় একটি আদর্শ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দান করেন তাঁর স্বামী প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক মরহুম লায়ন হুমায়ূন জহীর। ২০০৫ সালে যাঁর দানকৃত জমিতে আজকের এই নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠিানটি সমহিমায় মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে তিনি হলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়া রত্নগর্ভা মহীয়সী নারী কুলসুম মজিদ। এছাড়াও যাদের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয় তাঁরা হলেন ঢাকা কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নুরুল ইসলাম ফারুকী, ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রয়াত হাস্না বেগম। এছাড়াও রয়েছেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী গন্যমান্য আরো অনেকেই। সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। বর্তমানে কলেজটিতে এইচ এস সি এবং ডিগ্রি পর্যায়ের পাঠদান চলছে। কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রথম থেকেই ছাত্রীরা বোর্ড পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থানসহ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। এখনও আশানুরুপ ফলাফল অব্যাহত রয়েছে। স্মরণ করা প্রয়োজন যে, কলেজের সাবেক গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও ধানমন্ডি এবং মোহাম্মদপুরের উন্নয়নের রূপকার মরহুমআলহাজ্জ্ব মকবুল হোসেন এমপি মোহাম্মদপুরে কলেজের একখন্ড নিজস্ব জমি ক্রয়ে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন। সাবেক গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত সাংবাদিক প্রয়াত বেবী মওদুদ এম পি কলেজকে ২০১১-২০১২ সেশন থেকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নীত করেন। সাবেক গভর্ণিং বডির সুযোগ্য চেয়ারম্যান ডাঃ খালেদা বেগম কলেজের প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, আর্থিক অনুদান প্রাপ্তি সহ একাডেমিক উৎকর্ষতা অর্জনে নিরলস প্রচেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে ও আমরা গভীরভাবে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। কলেজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না থেকেও শিক্ষানুরাগী, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মাননীয় মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর আর্থিক সহায়তা, সু-পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় কলেজটি উত্তরোত্তর সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর অবদান আমরা সবসময়ই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং তাঁকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। পরিশেষে আমি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। মো: মাইন উদ্দিন,অধ্যক্ষ, ঢাকা মহিলা কলেজ Read More
নারী শিক্ষার অগ্রগতির কথা বিবেচনায় এনে ধানমন্ডির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা মহিলা কলেজ। কলেজটি ধানমন্ডির অভিজাত এলাকায় প্রতিষ্ঠিত নানান বৈচিত্র্যে সমুজ্জ্বল। এখানে ছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশে আবাসনের ব্যবস্থা আছে। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবাসিক শিক্ষার্থী বিশেষ করে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আদিবাসী মেয়েরা বাঙ্গালী মেয়েদের সাথে হোস্টেলে অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। তাই এ কলেজটি সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির একটি অনন্য উদাহরণ। কলেজের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাহাড়ি মেয়েদের উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। আদিবাসী মেয়েদের দ্বারা কলেজে একটি সাংস্কৃতিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি শনিবারে শিক্ষার্থীদের গানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে থাকে। সাংস্কৃতিক চর্চাই ধর্মান্ধতা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে আমরা সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রতি যত্নবান হচ্ছি। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস কুচ্কাওয়াজে ঢাকা মহিলা কলেজের নৌ রোভার দল অংশগ্রহন করে। স্কাউট/রোভার কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, স্বাবলম্বী হওয়া, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হওয়া তথা পরিপূর্ণ মানুষ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কলেজের ফলাফল বরাবরই সন্তোষজনক। নারী শিক্ষা বিস্তারে এ কলেজের ভূমিকা অনন্য। নারী শিক্ষার প্রতি বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আজ নারীরা সমাসীন হয়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছে। এ কলেজটি দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজ এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত বলে আমরা গর্ববোধ করি। ভবিষ্যতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয়দৃষ্টি আমাদের কলেজের দিকে একদিন অবশ্যই পড়বে এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা। এ কলেজের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর আর্থিক সহায়তা ও সুপরামর্শে কলেজের উত্তরোত্তর উন্নতিকল্পে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং উৎসাহব্যাঞ্জক। কলেজ গভর্ণিং বডির পক্ষ থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিটি সদস্য ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে কলেজের মানোন্নয়ন ও উন্নয়ণমূলক কাজে সর্বদা সহায়তা প্রদান করে আসছেন। তাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পরিশেষে আমি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। রফিকুল ইসলাম বাবলা সভাপতি, গভর্ণিং বডি, ঢাকা মহিলা কলেজ Read More
বিদ্যালয়য়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠ্যক্রম ও সহপাঠ্যক্রম কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদের ও ছাত্রীদের মেধা ও প্রতিভার বিকাশ সাধন এবং শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিগুলোর সুষম বর্ধন- যাতে তারা সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।